নিজস্ব সংবাদদাতা:
পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের শীর্ষ ক্যাডার মাফিয়া ডন আগষ্টিন পিউরিফিকেশন, আসাদুজ্জামান খান কামালের ঘনিষ্ঠ সহোচর ও আওয়ামীপন্থী বাংলাদেশ খ্রীষ্টান এসোসিয়েশনের সভাপতি নির্মল রোজারিও, আসাদুজ্জামান খান কামালের ব্যবসায়িক অংশীদার ও দি খ্রীষ্টান কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি পংকজ গিলবার্ট কস্তা, আসাদুজ্জামান খান কামালের ব্যবসায়িক অংশীদার ও দি খ্রীষ্টান কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি বাবু মার্কুজ গমেজ এবং আসাদুজ্জামান খান কামালের ঘনিষ্ঠ সহোচর ও দি খ্রীষ্টান কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়নের বর্তমান সভাপতি ইগ্নাসিওস হেমন্ত কোড়াইয়া কেবল খ্রীষ্টান সম্প্রদায় নয়;সমগ্র সমবায় অঙ্গনের মূুর্তিমান আতংক হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। তাদের অবৈধ দখলদারিত্ব ও অত্যাচার নির্যাতনে সমবায়ীরা অতিষ্ঠ।
পঞ্চপান্ডব খ্যাত আগষ্টিন-নির্মল-পংকজ-বাবু মার্কুজ-হেমন্ত চক্র সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও সাবেক সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্যের ছত্রছায়ায় পুরো আওয়ামী শাসনামলে দি খ্রীষ্টান কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়ন(ঢাকা ক্রেডিট) লি:,দি মেট্রোপলিটান খ্রীষ্টান কো-অপারেটিভ হাউজিং সোসাইটি লি: এবং দি কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়ন লীগ অব বাংলাদেশ(কালব) অবৈধভাবে দখলে নিয়েছে। রহস্যজনক কারনে আওয়ামী সরকার পতনের পরও তারা দখলদারিত্ব অব্যাহত রেখেছে।
আগষ্টিন-নির্মল-পংকজ-বাবু মার্কুজ-হেমন্ত চক্র সাম্প্রতিক বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছিলেন। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ”সন্ত্রাসী” ” রাজাকার” আখ্যা দিয়ে সংবাদ মাধ্যমে বিবৃতিও দিয়েছেন। এমনকি বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন দমনে নানা প্রক্রিয়ায় অর্থায়ন করার অভিযোগও আছে তাদের বিরুদ্ধে। সরকার পতনের পরও থেমে নেই পঞ্চপান্ডব। অন্তর্বর্তীকালিন সরকারকে অস্থিতিশীল করার জন্যে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বাধানোর অপচেষ্টা করছেন তারা। এক্ষেত্রে অর্থায়ন করছে মাফিয়া ডন আগষ্টিন পিউরিফিকেশন। আওয়ামী সরকার কর্তৃক শিক্ষার্থী হত্যাকান্ড কেন্দ্রিক একাধিক মামলায় সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সাথে আগষ্টিন-নির্মল-পংকজ-বাবু মার্কুজ-হেমন্ত চক্রও আসামী। ডিবি বনানী জোনের পরিদর্শক নাজমুল হকসহ কতিপয় অসৎ পুলিশ সদস্যের আশ্রয়ে তারা গ্রেপ্তার হওয়ার পরিবর্তে দম্ভের সাথে সমবায়ে দখলদারিত্ব অব্যাহত রেখেছেন। তাদের দখলদারিত্ব ও অবৈধ কর্মকান্ড অব্যাহত রাখার জন্যে আওয়ামী বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতাদের আশ্রয় লাভের চেষ্টা করছেন বলে জানাগেছে।
এদিকে পঞ্চপান্ডবের তান্ডবের বিরুদ্ধে এখন সাধারণ খ্রীষ্টান সমাজ সোচ্চার হতে শুরু করেছে। সরকার পতনের পর ”বৈষম্য বিরোধী খ্রীষ্টান সমাজ” নামের একটি সংগঠন সম্প্রতি তেজগাঁও এলাকায় সমাবেশ আয়োজন করে উক্ত সমিতি তিনটি থেকে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারি আগষ্টিন চক্রকে অপসারন এবং পঞ্চপান্ডবকে আইনের আওতায় আনার জন্যে সরকারের প্রতি আহবান জানিয়েছেন। অনুরূপ বাংলাদেশ খ্রীষ্টান এসোসিয়েশনের সভাপতি আলবার্ট পি. কস্তা সম্প্রতি এক বিবৃতিতে আসাদুজ্জামান খান কামালের প্রেতাত্মা আগষ্টিনকে দি মেট্রোপলিটান খ্রীষ্টান কো-অপারেটিভ হাউজিং সোসাইটি লি: থেকে অপসারন করার দাবি করেছেন।
দি কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়ন লীগ অব বাংলাদেশ(কালব) এর দখলদার চেয়ারম্যান আগষ্টিন পিউরিফিকেশন কালবে মেট্রোপলিটান খ্রীষ্টান কো-অপারেটিভ হাউজিং সোসাইটির মত রাবন রাজত্ব প্রতিষ্ঠার করেছেন। নির্বাচনে অংশগ্রহন করার মত তার প্রাথমিক যোগ্যতা ছিলনা তার। সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও সাবেক সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্যের ছত্রছায়ায় এবং সমবায় অধিদপ্তরের দুর্নীতির বরপুত্র খ্যাত অতিরিক্ত নিবন্ধক আহসান কবিরসহ কতিপয় অসৎ কর্মকর্তার পৃষ্ঠপোষকতায় কালব দখলে নেয়। নর্তকী,বান্ধবী,বান্ধবীর স্বামীসহ তার মত অশিক্ষিত,দুর্নীতিবাজ লোকজন নিয়ে কালবে লুটের রাজত্ব কায়েম করেছেন।
কালবের সদস্যগণ মাফিয়া আগষ্টিনের লাইসেন্স করা পিস্তল ও ক্যাডার বাহিনীর ভয়ে কোন মতামত প্রদানে বিরত থাকছেন। আগষ্টিন সব সময় ক্যাডার বাহিনী ও লাইসেন্স করা পিস্তল নিয়ে চলাফেরা করেন। সরকারি নির্দেশের পরও তার লাইসেন্স করা অস্ত্র এখনো থানায় জমা দেন নি। যে কারনে উপরোক্ত সমিতি তিনটির সদস্যদের মধ্যে এখন রীতিমত গুম খুন ও মিথ্যা মামলায় ফাঁসার আতংক বিরাজ করছে।