দুই স্পিনার সাজিদ খান ও নোমান আলির দুর্দান্ত বোলিং নৈপুন্যে সাড়ে তিন বছরেরও বেশি সময় পর ঘরের মাঠে টেস্ট ম্যাচ জিতলো পাকিস্তান। মুলতানে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে আজ পাকিস্তান ১৫২ রানের বড় ব্যবধানে হারিয়েছে ইংল্যান্ডকে। রান বিবেচনায় ঘরের মাঠে ইংলিশদের বিপক্ষে এটিই সবচেয়ে বড় জয় পাকিস্তানের।
২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে ঘরের মাঠে সর্বশেষ ম্যাচ জিতেছিলো পাকিস্তান। রাওয়ালপিন্ডিতে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৯৫ রানে হারিয়েছিলো তারা। এরপর টানা ১১ টেস্টে জয় দেখেনি পাকিস্তান।
সিরিজের দ্বিতীয় টেস্ট জিততে ম্যাচের তৃতীয় দিন ২৯৭ রানের টার্গেট পেয়েছিলো ইংল্যান্ড। দিন শেষে ১১ ওভারে ২ উইকেটে ৩৬ রান তুলে ইংলিশরা। ফলে টেস্টের বাকী দু’দিনে ইংল্যান্ডের প্রয়োজন ছিলো ২৬১ রান এবং পাকিস্তানের দরকার ৮ উইকেট।
এমন সমীকরণ নিয়ে আজ চতুর্থ দিন খেলতে নেমে নোমানের ঘূর্ণির সামনে অসহায় আত্মসমর্পন করে ইংল্যান্ড। ৩৩.৩ ওভারে ১৪৪ রানে গুটিয়ে যায় ইংলিশরা। দলের পক্ষে অধিনায়ক বেন স্টোকস ৩৭, ব্রাইডন কার্স ২৭ ও ওলি পোপ ২২ রান করেন।
চতুর্থ দিন পতন হওয়া ইংল্যান্ডের ৮ উইকেটের সাতটিই নেন নোমান। আগের দিন ১ উইকেট নিয়েছিলেন তিনি। ফলে ৪৬ রানে ৮ উইকেট নিয়ে ১৬ ম্যাচের টেস্ট ক্যারিয়ারে সেরা বোলিংয়ের নজির গড়ে নোমান।
প্রথম ইনিংসে ১০১ রানে ৩ উইকেট ঝুলিতে ছিলো নোমানের। ঐ ইনিংসে ১১১ রানে ৭ উইকেট শিকার করেছিলেন সাজিদ। দ্বিতীয় ইনিংসে ৯৩ রানে ২ উইকেট নেন তিনি। ফলে পুরো ম্যাচে নোমান-সাজিদ মিলে শিকার করেছেন ২০ উইকেট।
১৯৭২ সালের পর টেস্ট ক্রিকেটে প্রতিপক্ষের ২০ উইকেট নিলেন দুই বোলার। টেস্টে ১৪৭ বছরের ইতিহাসে এই নিয়ে সপ্তমবার দুই বোলার মিলে প্রতিপক্ষের ২০ উইকেট শিকার করলেন।
এছাড়া ১৯৮৭ সালের পর এই নিয়ে সপ্তমবারের মত পাকিস্তানের দুই স্পিনার ম্যাচে পাঁচ উইকেট করে নেওয়ার কীর্তিও গড়লেন।
এই জয়ে তিন ম্যাচ সিরিজে ১-১ সমতা ফেরালো পাকিস্তান। সিরিজের প্রথম টেস্ট ইনিংস ও ৪৭ রানে জিতেছিলো ইংল্যান্ড। আগামী ২৪ অক্টোবর রাওয়ালপিন্ডিতে সিরিজ নির্ধারনী ম্যাচ খেলতে নামবে পাকিস্তান ও ইংল্যান্ড।
সিরিজটি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের অংশ হওয়ায় ১৮ ম্যাচ শেষে ৪৩.০৬ শতাংশ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের চতুর্থস্থানে আছে ইংল্যান্ড। ৯ ম্যাচে ২৫.৯৩ শতাংশ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের অষ্টমস্থানে উঠলো পাকিস্তান।