স্টাফ রিপোর্টার : সাবেক আওয়ামীলীগের প্রেতাত্মা এবং গণপূর্তের পীর সাহেব খ্যাত বর্তমান প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ শামীম আখতার এর আস্থাভাজন নির্বাহী প্রকৌশলী ইউসুফের গ্রাসে গণপূতের্র ইএম কারখানা বিভাগ! গণপূর্ত অধিদপ্তরের ইএম কারখানা বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলীর আশ্রয় প্রশ্রয়ে চলছে ভয়াবহ দুর্নীতি। কেউ কাজ শেষ করেও বিল পাচ্ছেনা আবার কেউ কাজ না করেও পুরো বরাদ্দ আত্মসাৎ করছেন। বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে ছাত্রলীগের নেতা এই নির্বাহী প্রকৌশলী ইউসুফ নাকি গণপূর্তের পীর সহেব খ্যাত বর্তমান প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ শামীম আখতার এর মুরিদ হওয়ার কারণে তার আশ্রয় প্রশ্রয়ে বর্তমানে গণপূর্ত ই/এম বিভাগের দুর্নীতির খাদক হিসেবে আবির্ভূত হয়েছেন নির্বাহী প্রকৌশলী ইউসুফ।নির্বাহী প্রকৌশলী ইউসুফ আগে নির্দিষ্ট পরিমাণে কমিশন গ্রহণ করলেও বর্তমানে কাজ না করে পুরো টাকা নিজের পকেটে ভরছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। ১৭ লাখ টাকার দরপত্রের বিপরীতে কোন প্রকার কাজ না করেই পুরো টাকা ভাগ বাটোয়ারা করে আত্মসাৎ করেছে এই প্রকৌশলী সহ তার নিজস্ব সিন্ডিকেট।সিন্ডিকেটের অন্যতম প্রকৌশলী ইউসুফ ও এসও মিজান এবং এসডিই আসিফ। ইউসুফের ঘনিষ্ঠ সূত্রে জানা গেছে, ছাত্রজীবনে তিনি সরাসরি বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নেতা ছিলেন। আওয়ামী লীগ নেতাদের সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক থাকায় তার ছিলো দুর্দান্ত প্রতাপ ও প্রভাব। তিনি তার বর্তমান কর্মস্থল সংসদের ইএম কারখানা বিভাগে ৭০ লাখ টাকা ঘুষ দিয়ে ঢুকেছেন। প্রকৌশলী ইউসুফের ঘুষ ও কমিশনের অত্যাচারে ঠিকাদার এবং স্টাফ সবাই দিশেহারা হয়ে পড়লেও তিনি গণপূর্তের বর্তমান প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ শামীম আখতার এর একান্ত আস্থাভাজন হওয়ায় এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের উপায় নাই তাদের।বিহারি কাওসার নামের এক ঠিকাদারকে বিভিন্ন লাইসেন্সে কাজ দিয়ে সিন্ডিকেট গঠন করেছেন এই ইউসুফ। এই বিহারি কাওসার মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানের আটকে পড়া পাকিস্তানী বংশোদ্ভূত একজন বাংলাদেশী। আওয়ামীলীগের প্রেতাত্মা এই ঠিকাদারের সাথে মিলে ইউসুফ একত্রে সিন্ডিকেট ব্যবসাা করেন।গণপূর্ত ইএম কারখানা বিভাগের একাধিক ঠিকাদারের সাথে কথা বলে জানা যায়, ইউসুফ ঠিকমতো অফিসে করেন না, কখনও বিআইসিসিতে, কখনো আসাদগেট আড়ংয়ে আবার কখনো বিভিন্ন হোটেলে গিয়ে ঠিকাদারের কাছ থেকে কমিশনের অ্যাডভান্স টাকা নেন। শুধু টাকা নেয়ার জন্য বাইরে বাইরে গিয়ে টাকা কালেকশন করে যে কারনে সঠিক সময় মত অফিস করে না তিনি।অফিসের ফাইল ড্রাইভার দিয়ে বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে যান। এ সকল কারণে ঠিকাদারবৃন্দ সময়মতো বিল পাচ্ছে না। বিল না পাওয়ায় কাজে বিলম্ব হচ্ছে। আর তার ফলে সরকারের কোটি কোটি টাকা আর্থিক ক্ষতি হচ্ছে। বিআরটিসি প্রকল্পে ৫% ঘুষ না দিলে বিল দেন না ইউসুফ।বিআইএম শক্তিশালীকরণ প্রকল্পে ঠিকাদারদের থেকে ১০% অ্যাডভান্স টাকা নিয়ে দরপত্র আহ্বান এবং অতিরিক্ত ৫% টাকা না দিলে কার্যাদেশ প্রদানে গড়িমসি করছেন বলে অভিযোগ রয়েছে মো. ইউসুফ এর বিরুদ্ধে। সাবেক আওয়ামী লীগের প্রেতাত্মা প্রকৌশলী ইউসুফ এর খোঁজ খবর নিয়ে জানা যায়, বিগত দিনে ইউসুফের দুর্নীতির আমলনামা বিস্তর “নাজমা এন্টার প্রাইজ” এর ২০১৪ সালের একটি তামাদি হওয়া বিলের টাকা ৫০% ভাগাভাগি করে বিল প্রদান করেন। ১৪ লাখ টাকার ঐ বিল দিয়ে নিজেই নিয়েছেন ৭ লাখ টাকা।আবার জাতীয় বিজ্ঞান জাদুঘরের নবনির্মিত ভবনের সেন্ট্রাল এসির পরিচালন বাবদ ১৭ লাখ টাকার কাজ না করিয়ে এস ও মিজানের সাথে মিলে ৫০% টাকা নিয়ে বিল দিয়ে দেন নির্বাহী প্রকৌশলী ইউসুফ। এভাবেই সরকারি অর্থ লোপাটে নামছে ইউসুফ। আওয়ামী লীগের মতাদর্শের হওয়ায় দেশপ্রেম এর পরিবর্তে দেশ ধ্বংসে লিপ্ত এই ইউসুফ বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলন কে নস্যাৎ করতে ও মোটা অংকের অর্থের যোগান দিয়েছেন বলে গণপূর্ত অধিদপ্তরে জনশ্রুতি রয়েছে।সম্প্রতি গোয়েন্দা সংস্থার অনুসন্ধানে তার ও তার পরিবারের সদস্যদের আওয়ামী লীগের প্রেতাত্মা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে, খুব শিগগিরই গোয়েন্দা সংস্থা তাদের তদন্ত প্রতিবেদনে উর্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে জমা দিবেন এবং তাদের আওয়ামী লীগের কানেকশনের তথ্য বেরিয়ে আসছে বলেও গোয়েন্দাদের বিশ্বস্থ মাধ্যমে জানা গেছে । তার অফিসের কর্মকর্তা কর্মচারী এবং ঠিকাদার সকলেই তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চান, কিন্তু তার নির্লজ্জ আচরণের কারণে কেউ তার সামনে মুখ খুলতে চায় না।নির্বাহী প্রকৌশলী ইউসুফ এর স্বেচ্ছাচারিতায় অতিষ্ঠরা বলেন, প্রকৌশলী ইউসুফের সীমাহীন দূর্নীতি ও সেচ্ছাচারিতায় ঠিকাদার ও কর্মচারীগণ মনে করেন সচিব ব্যতীত অন্য কেউ তার গ্রাস থেকে আমাদের বাঁচাতে পারবে না। কারণ, তিনি গণপূর্তের বর্তমান প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ শামীম আখতার এর ঘনিষ্ঠদের একজন। এই বিষয়ে নির্বাহী প্রকৌশলী ইউসুফ এর সঙ্গে তার অফিস কার্যালয়ে যোগাযোগ করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি। পরবর্তীতে তার মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি মোবাইল রিসিভ না করায় তার কোন প্রকার বক্তব্য প্রকাশিত হলো না।