ইশরাত জাহান রুপা: রাজউক কর্মচারী কল্যাণ ট্রাস্টের সচিব, অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর, উচ্চমান সহকারী (অ:দা:) মাহাবুবুর রহমানের বিরুদ্ধে দুর্নীতি এবং অনিয়মের মাধ্যমে রাজউকের পূর্বাচল ৯ নং সেক্টরে ৫ কাঠার প্লট, ঝিলমিলে ৫ কাঠার প্লট, রাজধানীর বনশ্রীতে বাড়ি ও ফ্ল্যাট ক্রয়, স্ত্রী, সন্তান ও নিকট আত্মীয়-স্বজনের নামে বেনামে শেয়ারমার্কেটে কোটি কোটি টাকা বিনিয়োগের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান বরাবরে মো: ওয়াহিদুল হাবিব নামে এক ব্যক্তি গত বছরের ২২ মার্চ একটি অভিযোগ দায়ের করেছিলেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, রাজউকে চাকরীর সুবাদে গত কয়েক বছরে রাজউকে দালালি, তদবির বাণিজ্য, নথি গায়েব, নকশা জালিয়াতি থেকে শুরু করে বিভিন্ন প্রকার দুর্নীতি অনিয়মের মাধ্যমে রাতারাতি কোটিপতি বনে গেছেন মাহাবুব। সরকারী কর্মচারী হয়েও মাহাবুবুর রহমান গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানি থানা আওয়ামীলীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। সম্প্রতি বিএনপি’র এক নেতার রাজউক (নথি নং সেক্টর ১৫/ডি,এভিনিউ-৯, প্লট-৩৪) প্লটের এম আই এস জালিয়াতির ঘটনা ধরা পড়ে। এছাড়া নথি নং উত্তরা সেক্টর ১৬/এফ, রাস্তা-১/এ, প্লট ন-১৯) এর জালিয়াতির ওপর রাজউকের তদন্ত চলমান। এসব প্লট জালিয়াতির ঘটনার সাথে মাহাবুব ও তার ২ জন নিকট আত্মীয় ওতপ্রোতভাবে জড়িত থাকলেও রাজউক তদন্ত বিষয়টি এড়িয়ে যাচ্ছে। শুধু দুর্নীতি দমন কমিশনে নয়, রাজউকে ভূড়িভূড়ি অভিযোগ থাকলেও তদন্তের কোনো অগ্রগতি পরিলক্ষিত হয়না। স্বজনপ্রীতি এবং পক্ষপাততুষ্ঠ হয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত কর্মকর্তারা অভিযোগ ধামাচাপা দেন বলেও বিস্তর অভিযোগ রয়েছে রাজউকের কতিপয় কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে।
অভিযোগের বিষয়ে রাজউক কর্মচারী মাহাবুবুর রহমানের নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, কে আমার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনে অভিযোগ দায়ের করেছে তা আমি জানি না। কোনো দুর্নীতি অনিয়মের সাথে আমি জড়িত নই।
রাজউকের পরিচালক (প্রশাসন) মো: মমিন উদ্দিনের নিকট রাজউক কর্মচারী মাহাবুবুর রহমানের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের তদন্তের অগ্রগতি জানতে চাইলে তিনি নথি না দেখে কিছু বলতে পারবেন না বলে জানান।
রাজউক কর্মচারী মাহাবুবুর রহমানের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনে অভিযোগ দায়েরকারী মো: ওয়াহিদুল হাবিবের নিকট জানতে চাইলে তিনি মুঠোফোনে জানান, রাজউক কর্মচারী মাহাবুবুর রহমান একজন দুর্নীতিবাজ কর্মচারী। ব্যাপক দুর্নীতি এবং অনিয়মের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকার সম্পত্তির মালিক হয়েছেন। এজন্য জনস্বার্থে আমি মাহাবুবের বিরুদ্ধে দুদকে অভিযোগ দায়ের করেছি।
অভিযোগের বিষয়ে দুদক হতে কোনো আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে অভিযোগকারী ওয়াহিদুল হাবিব জানান, এখনও কোনো অগ্রগতি জানতে পারিনি। তবে, খোজঁখবর নিচ্ছি। কিছু জানতে পারলে জানানো হবে।