নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজধানী ঢাকার মুগদা থানাধীন মানিকনগর এলাকায় নকশাবহির্ভূত ও অনুমোদনহীন ১১টি ভবনে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেছে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)। আজ মঙ্গলবার (৪ জুন) সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত এ অভিযানের নেতৃত্ব দেন রাজউকের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম।
রাজউক জোন-৬/১ এর আওতাধীন মানিকনগর এলাকায় মঙ্গলবার দিনব্যাপী রাজউকের উচ্ছেদ অভিযানে নকশাবহির্ভূত ৯টি নির্মানাধীন ভবন এবং ২টি নির্মিত ভবনসহ সর্বমোট ১১টি ভবনের আংশিক অপসারণসহ সাড়ে ৫ লক্ষ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। এছাড়া ৭টি ভবনের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে।
অভিযান শেষে রাজউকের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুল ইসলাম বলেন, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ জোন ৬/১ এর আওতাধীন মানিকনগর এলাকায় রাজউক নকশাবহির্ভূত ভবনের বিরুদ্ধে আমরা মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করি। আজকের রাজউকের অভিযানে নকশাবহির্ভূত ১১টি ভবনের বর্ধিতাংশ অপসারণসহ মুচলেকা গ্রহণ করি। একইসঙ্গে অন্যরা যেন পরবর্তীতে অনুমোদনকৃত নকশার ব্যত্যয় করে ভবন নির্মাণ না করে সেই বার্তা দিয়ে সতর্ক করছি। রাজউকের অভিযান একটি চলমান প্রক্রিয়া। অনুমোদিত নকশার ব্যত্যয় না করে ভবন নির্মাণ করার জন্য ভবন মালিকদেরকে সচেতন করা হয়েছে।
জানা গেছে, গত ৩-৪ বছরে জোন-৬/১ এর আওতাধীন এলাকা মানিকনগরে বেশকিছু ভবন নির্মিত হলেও ইমারত নির্মাণ বিধির তোয়াক্কা করেনি কোনো ভবন মালিক কিংবা ডেভেলপার কোম্পানি। বিশেষ করে মানিকনগর এলাকায় ভরষা হাউজিং এন্ড ডেভেলপার্স লিমিটেডের ভবনগুলোর বিরুদ্ধে ইমারত নির্মাণ বিধি লঙ্ঘন এবং নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহারের গুরুতর অভিযোগ ছিল।
এছাড়াও ভবন মালিক ও ডেভেলপার কোম্পানিগুলো তাদের নির্মাণ সামগ্রী চলাচলের রাস্তার অর্ধেক দখল করে রাখায় সার্বক্ষণিক যানজট লেগে থাকতো। মঙ্গলবার মানিকনগর এলাকায় নকশাবহির্ভূত ও নকশাহীন অবৈধ ভবনে রাজউক উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করায় এলাকাবাসীর মাঝে স্বস্তি বিরাজ করছে।
স্থানীয়রা জানান, নকশাবহির্ভূত ভবনে রাজউক নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করলে এভাবে কেউ আর নিয়মের বাইরে ভবন নির্মাণ করবে না। রাস্তার জায়গা দখল করে ভবন নির্মাণ করার সাহসও করবে না।
রাজউক জোন-৬ এর পরিচালক সালেহ আহমদ জাকারিয়ার সার্বিক তত্ত্বাবধানে উচ্ছেদ অভিযানে আরও উপস্থিত ছিলেন- জোন-৬/১ এর অথরাইজড অফিসার মো. হাসানুজ্জামান, সহকারী অথরাইজড অফিসার প্রকৌশলী সাব্বিরুল ইসলাম, প্রধান ইমারত পরিদর্শক বাসুদেব ভট্টাচার্য ও বেলাল হোসেন, ইমারত পরিদর্শক ফিরোজ আলম, মো. নাজিম উদ্দিন, সুমন আহমেদ, মো. সাইফুল ইসলাম, মো. ইমরান শেখ ও তন্ময় দেবসহ রাজউকের অন্যান্য কর্মকর্তাগণ।