ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং জেলা যুব মহিলা লীগের সদস্যের (২৭) গোপন ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। এর প্রতিবাদে সোমবার ময়মনসিংহ প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন ওই নারী। এর আগে ওই ঘটনার প্রতিকার চেয়ে বৃহস্পতিবার ময়মনসিংহের সাইবার ট্রাইবুন্যালে ছয়জনকে আসামি করে একটি মামলা করেছেন বলে জানান বাদীর আইনজীবী অ্যাডভোকেট শাহজাহান জানান।
আদালত মামলাটি এফআইআর করার জন্য ময়মনসিংহ কোতোয়ালি থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন। মঙ্গলবার কোতোয়ালি থানার ওসি মো. মাঈন উদ্দিনের সঙ্গে কথা হলে তিনি মামলা রেকর্ড হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। গোপন ভিডিও ভাইরালের ঘটনায় জেলা ও উপজেলায় নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় বইছে।
ওই মামলার ১নং আসামি হচ্ছেন— ময়মনসিংহ জেলা যুব মহিলা লীগের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক স্বপ্না খন্দকার। অন্য আসামিরা হচ্ছেন— কাজী বাবু, গাড়িচালক হীরা, মশিউর রহমান রানা, রাকিবুল হাসান ও জাওয়াদ নির্ঝর।
ওসি মাঈন উদ্দিন বলেন, আদালতে হওয়া মামলার একটি কপি হাতে পেয়েছি। এতে বাদীর অভিযোগটি এফআইআর করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে গোপন ভিডিও ভাইরাল করার ঘটনায় বিচার দাবি করে সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী বলেন, আমি ষড়যন্ত্র ও প্রতারণার শিকার। আমার নেত্রী স্বপ্না খন্দকার তার সহযোগীদের নিয়ে জোরপূর্বক আমাকে বাধ্য করে এই ভিডিও করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়েছে। এতে আমি পারিবারিক ও সামাজিকভাবে বিপর্যস্ত। আমি এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তপূর্বক বিচার দাবি করছি।
ভুক্তভোগী আরও বলেন, আমার মতো অনেক নারী স্বপ্না খন্দকারের ষড়যন্ত্র ও প্রতারণার শিকার। কিন্তু ভয়ে কেউ স্বপ্নার বিরুদ্ধে মুখ খুলতে চায় না। রাজনীতির আঁড়ালে এই ধরনের অপরাধের মাধ্যমে বিভিন্ন লোকদের জিম্মি করে টাকা হাতিয়ে নেওয়াই স্বপ্না খন্দকারের পেশা ও নেশা। আমি তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি। এ সময় সংবাদ সম্মেলনে জেলা ও উপজেলা যুব মহিলা লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। তারাও এই মানহানিকর ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি করেছেন।
ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও জেলা যুব মহিলা লীগের ১ নম্বর সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক স্বপ্না খন্দকারের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।