ইসরাইলের সরকারের সঙ্গে গুগলের ক্লাউড কম্পিউটিং চুক্তির বিরোধিতা করায় আরও ২০ জন গুগল কর্মী চাকরি হারিয়েছেন। এ নিয়ে সব মিলিয়ে ৫০ কর্মী এ কারণে চাকরি হারালেন। খবর সিএনএনের।
নো টেক ফর দ্য অ্যাপার্থাইড’ শীর্ষক এই গোষ্ঠীর প্রতিবাদকারীরা গত সপ্তাহের মঙ্গলবার গুগলের কার্যালয়ে প্রতিবাদ বিক্ষোভ করেন।
সোমবার তারা এক বিবৃতিতে জানান, গুগল আরও ২০ জন কর্মী ছাঁটাই করেছে। এর আগের সপ্তাহে আরও ৩০ জন কর্মী ছাঁটাই করা হয়েছিল।
নো টেক ফর দ্য অ্যাপার্থাইডের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, যাদের চাকরিচ্যুত করা হয়েছে, তাদের অনেকেই প্রতিবাদ বিক্ষোভে অংশ নেননি, বরং তারা পাশে দাঁড়িয়ে এই সমাবেশ দেখেছেন। কর্মক্ষেত্রের এসব তৎপরতায় তাদের অংশগ্রহণও তেমন একটা নেই।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, এভাবে কর্মীদের চাকরিচ্যুত করার মধ্য দিয়ে গুগলের মতো মহীরুহ প্রযুক্তি কোম্পানি আগ্রাসী ও প্রতিশোধমূলক আচরণের বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছে।
এদিকে সিএনএনকে দেওয়া এক বিবৃতিতে গুগলের মুখপাত্র বলেছেন, সেদিনের প্রতিবাদ বিক্ষোভের কারণ আরও বেশ কিছু কর্মীর চাকরি গেছে, তা ঠিক। তবে ওই মুখপাত্র নিশ্চিত করে বলেননি, এ দফায় কতজন চাকরি হারিয়েছেন।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, গত ১৬ এপ্রিল গুগলের কার্যালয়ে প্রতিবাদ সমাবেশের কারণে কার্যক্রম ব্যাহত হয়েছে।
এ বিষয়ে গুগলের তদন্ত শেষ হয়েছে। এই পরিপ্রেক্ষিতে যারা প্রত্যক্ষভাবে এই কার্যক্রমে অংশ নিয়েছিলেন, তাদের মধ্যে বেশ কয়েকজন কর্মীকে ছাঁটাই করা হয়েছে।
গুগলের মুখপাত্র আরও বলেছেন, আবারও নিশ্চিত করা হচ্ছে, যাদের চাকরিচ্যুত করা হয়েছে, তারা সবাই ১৬ এপ্রিল গুগল কার্যালয়ের ভেতরে প্রতিবাদ সমাবেশে অংশ নিয়েছিলেন। বিষয়টি সতর্কতার সঙ্গে একাধিকবার নিশ্চিত করা হয়েছে।
কিন্তু সেই প্রতিবাদ সমাবেশ আয়োজনকারীদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, যাদের চাকরিচ্যুত করা হয়েছে, তাদের অনেকে এই সমাবেশে অংশ নেননি বা কার্যালয়ের কার্যক্রমে ব্যাঘাত ঘটাননি।
‘প্রজেক্ট নিম্বাস’ নামে গুগল ও অ্যামাজনের সঙ্গে ইসরাইলের ১২০ কোটি ডলারের ওই চুক্তি রয়েছে। চুক্তির মাধ্যমে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী ও সরকারি বিভিন্ন দপ্তরকে ক্লাউড পরিষেবা ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআইসহ উন্নত প্রযুক্তি সরবরাহ করে গুগল ও অ্যামাজন।
এই চুক্তির বিরোধিতা করে মঙ্গলবার ক্যালিফোর্নিয়ায় অবস্থিত কোম্পানিটির অফিসে শীর্ষ নির্বাহীর কক্ষের সামনে বিক্ষোভ শুরু করেন ওই কর্মীরা। ওই দিন বিক্ষুব্ধরা প্রায় ১০ ঘণ্টা এই চুক্তির বিরুদ্ধে অবস্থান কর্মসূচি পালনসহ বিক্ষোভ করেন।
এই কর্মসূচি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়। ওই ঘটনার পর বিক্ষোভে জড়িত ৯জনকে অনধিকার প্রবেশের অভিযোগ এনে গ্রেফতার করা হয়।