বিশ্বকাপে ব্যর্থতার পর অনেকটা বাধ্য হয়েই পাকিস্তানের তিন সংস্করণের অধিনায়কত্ব ছেড়েছিলেন বাবর আজম। চার মাস না যেতেই আবারও অধিনায়কত্ব ফিরে পেয়েছেন এই ওপেনার। শাহিন শাহ আফ্রিদিকে টি-টোয়েন্টির অধিনায়ক করার চার মাসের ভেতরেই তা কেড়ে নেওয়া হয়েছে।
বিশ্বকাপের আগে পাকিস্তান দলে এমন কাণ্ডে সাবেক অধিনায়ক রশিদ লতিফ জানিয়েছেন, শাহিন আফ্রিদির ওপর প্রতিশোধ নিয়েছে বাবর।
পাকিস্তানের ক্রিকেট বোর্ডের হস্তক্ষেপে পাকিস্তান দলে অবসর থেকে ফিরেছেন মোহাম্মদ আমির ও ইমাদ ওয়াসিম। এই দুই তারকা ফেরার পরই পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড প্রাথমিক স্কোয়াড নিয়ে ক্রিকেটারদের ফিটনেসের জন্য আর্মি প্রশিক্ষণে পাঠায়।
ক্রিকেটাররা যখন ফিটনেস ক্যাম্পে ব্যস্ত, ঠিক তখন ক্রিকেট বোর্ড টি-টোয়েন্টি ও ওয়ানডেতে পাকিস্তানের অধিনায়ক হিসেবে বাবর আজমকে ফেরানোর সিদ্ধান্ত নেয়। পিসিবির এমন কাণ্ডে পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক রশিদ লতিফ মনে করেন, আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ পাকিস্তান না জিততে পারলে দলটিতে ভাঙন দেখা দিতে পারে। পাকিস্তান দলের বর্তমান অস্থিরতা দেখে লতিফের নব্বই দশকের কথা মনে পড়ে যায় বলে জানিয়েছেন।
রশিদ পাকিস্তানের অধিনায়কত্বের রদবদলের ব্যাপারে আফগানিস্তান সিরিজের উদাহরণ টেনে বলেন, ‘আফগানিস্তানের কাছে সিরিজ হারের পর শাদাব খান খুব বুদ্ধিমানের মতো কাজ করেছিল। সে বলেছিল বাবর-রিজওয়ান ছাড়া এই দল পূর্ণতা পায় না। এর মানে হচ্ছে— আমি (শাদাব) অধিনায়ক নই। বাবরকে যখন অধিনায়কত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হলো, একই জিনিস আমি আফ্রিদির কাছ থেকেও আশা করেছিলাম। আফ্রিদি যদি সেদিন একটা অবস্থান নিত, তা হলে এখনকার এই দিন দেখতে হতো না। দুজনের যত বন্ধুত্বই থাকুক না কেন, বাবর কি প্রতিশোধ নিল না?’
বাবর নেতৃত্ব হারানোর পর আফ্রিদির ফিরে আসা আবার বাবরে ফিরে যাওয়া— এসব কিছুতে দুজনের সঙ্গেই অন্যায় হয়েছে বলে মনে করেন রশিদ লতিফ। পাকিস্তানের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে চিন্তিত এই সাবেক অধিনায়ক বলেন, ‘যদি তারা বিশ্বকাপ না জেতে তা হলে দলটাতে ভাঙন ধরবে। ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ জেতাটা খুবই জরুরি। এসব (চলমান পরিস্থিতি) দেখে আমার নব্বই দশকের কথা মনে পড়ছে।’