বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ জয়নুল বারী সহ ছয়জনের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার জন্য রুল জারি করা হয়েছে। সন্ধানী লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড, মতিঝিল শাখা কার্যালয়ের সাময়িক বরখাস্ত কৃত ডিজিএম ও ইনচার্জ বকুল হোসেন হৃদয় কে স্বপদে বহাল ও ক্ষতিপৃরন না দেওয়ায় মাননীয় বিচারপতি বিশ্বমাধব চক্রবর্তী এবং বিচারপতি মোঃ আলী রেজার সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের বেঞ্চ গত ৩০ আগস্ট এ রুল জারি করে।অন্য যে পাঁচ জনের বিরুদ্ধে রুল জারি করা হয়েছে তারা হলেন, অর্থ মন্ত্রণালয়, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব শেখ মোহাম্মদ সলীম উল্লাহ, সন্ধানী লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নিমাই কুমার সাহা, অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইদ্রিস মিয়া তালুকদার, ডেপুটি ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মিজানুর রহমান এবং এসিস্ট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট (লিগাল ডিপার্টমেন্ট) কলিম উদ্দিন। প্রসঙ্গত, সাময়িক বরখাস্ত কৃত বকুল হোসেন হৃদয় গত ২২/০৭/২০১৪ ইং তারিখে সন্ধানী লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানি তে রিজিওনাল কো-অর্ডিনেটর পদে যোগদান করে সততা ও নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করেছে। তারপর ২০২২ ইং সালের ২১ জুলাই কর্তৃপক্ষ অন্য জনকে সুবিধা প্রদান করতে মূলত মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন তথ্য দিয়ে বকুল হোসেন হৃদয় কে সাময়িক বরখাস্ত করে। এই সাময়িক বরখাস্ত আদেশ সঠিক ও বিধিসম্মত না হওয়ায় ভুক্তভোগী ব্যবস্থাপনা পরিচালক বরাবর সাময়িক বরখাস্ত স্থগিত এর জন্য আবেদন করে। তবুও কোন উত্তর মিলে নাই বাধ্য হয়ে বকুল হোসেন হৃদয় মহামান্য হাইকোর্টে একটি রীট পিটিশন, যার নাম্বার ১৬২৪৩/২০২২ দায়ের করেন। গত ১৩/০২/২০২৩ ইং তারিখে মাননীয় বিচারপতি কে,এম, কামরুল কাদের এবং বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর দ্বৈত হাইকোর্ট বেঞ্চ ১ মাসের মধ্যেই বাদির মামলা নিষ্পত্তির জন্য আদেশ দেয় কিন্তু বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এবং সন্ধানী লাইফের কর্তৃপক্ষ মহামান্য হাইকোর্টের আদেশ কে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে তা কার্যকর করে নাই। মামলার বাদী আবার ০৩/০৪/২০২৩ ইং তারিখে মামলার রায় কার্যকর করার জন্য কর্তৃপক্ষের নিকট আবেদন করে। এতেও সুরাহা না হওয়ায় আদালত অবমাননার জন্য মহামান্য হাইকোর্টে কনটেমট পিটিশন ২৬১/২০২৩ দায়ের করেন।গত ১৩/০২/২০২৩ ইং তারিখের মহামান্য হাইকোর্টের আদেশ যে লঙ্ঘন করা হয়েছে, এর দায় কেন অর্থ সচিব সহ ছয় জনের বিরুদ্ধে শাস্তিমৃলক ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে না, তা চার সপ্তাহের মধ্যেই রুলের জবাব চাওয়া হয়েছে।