ক্রীড়া ডেস্ক :
টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমেছিল বাংলাদেশ। টসের সময় অধিনায়ক তামিম ইকবাল বলেছিলেন, ‘প্রথম ১৫ ওভার আমাদের দেখেশুনে খেলতে হবে। তারপর রান তুলতে হবে।’ অধিনায়কের এই কথাটা রেখেছে দলের ক্রিকেটাররা। আইরিশদের বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৩৪৯ রান। এটা বাংলাদেশের ওয়ানডে ইতিহাসে সর্বোচ্চ সংগ্রহ। আগের রেকর্ড ছিল ৩৩৮ রান। আগের ম্যাচেই আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে এই রেকর্ড গড়েছিল বাংলাদেশ।
টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে বাংলাদেশের শুরুটা মোটেও ভালো ছিল না। পাওয়ার প্লেতে মাত্র ৪২ রান তোলে। তামিম ইকবাল ২৩ রানে রান আউটের শিকার হয়ে ফেরেন। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে নাজমুল হোসেন শান্তকে সঙ্গে নিয়ে ৯৬ বলে ১০১ রানের জুটি গড়েন লিটন দাস। এই জুটিতে মূলত ঘুরে দাঁড়ায় বাংলাদেশ। লিটন দাস ৭১ বলে ৭০ রান করে ফিরলে ভাঙে এই জুটি। এই ম্যাচে ওয়ানডেতে দুই হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করেন লিটন দাস।
ছন্দে থাকা নাজমুল হোসেন শান্তর ব্যাটেও আসে হাফ সেঞ্চুরি। তার ব্যাটে আসে ৭৩ রান। পেসার গ্রাহাম হিউমের বলে উইকেটের পেছনে লরকান টাকারের হাতে ক্যাচ তুলে দেন তিনি।
তার আগে সাকিব আল হাসান ফেরেন ব্যক্তিগত ১৭ রানে। সাকিবের বিদায়ের পর তাওহিদ হৃদয়কে সঙ্গে নিয়ে বড় জুটি গড়তে পারেননি শান্ত। তিনি না পারলেও মুশফিক পেরেছেন। তরুণ তাওহিদ হৃদয়কে সঙ্গে নিয়ে মুশফিক গড়েন ১২৮ রানের জুটি। মূলত এই জুটিই বাংলাদেশকে ওয়ানডেতে সর্বোচ্চ রানের নতুন রেকর্ড গড়ার ভিত এনে দেয়। তাওহিদ হৃদয় ৪৯ রানে ফিরলে ভাঙে এই জুটি। ইনিংসের শেষ পর্যন্ত টিকে থেকে ১০০ রানে অপরাজিত ছিলেন মুশফিকুর রহিম। এটা তার ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ৯ম সেঞ্চুরি।
Leave a Reply