নিজস্ব প্রতিবেদক :
কায়কোবাদ বর্তমান প্রধান প্রকৌশলীর অত্যন্ত আস্থাভাজন হওয়ার কারনে গনপূর্ত ই-এম সার্কেল চট্রগ্রাম থেকে ঢাকার গুরুত্বপূর্ন ই-এম সার্কেল-২ এর পদায়ন করা হয়েছে। সাবেক প্রধান প্রকৌশলী আশরাফুল আলমের সময় তিনি তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (ই-এম) গনপূর্ত ই-এম প্লানিং সার্কেলে কর্মরত ছিলেন। ওই সময় তার বিরুদ্ধে বিস্তর অভিযোগ ছিলো। তিনি তৎকালীন প্রধান প্রকৌশলীর নাম ভাঙ্গিয়ে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন।সাবেক প্রধান প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ যদি দুদক অনুসন্ধান করতে পারে, ক্ষমতার জোরে আশরাফুল আলমের ক্যাশিয়ার খ্যাত মো: কায়কোবাদের বিষয়ে অনুসন্ধান চালানো হয়নি। অভিযোগ রয়েছে তিনি বৈধ ও অবৈধভাবে বিপুল পরিমান জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদের মালিক হয়েছেন। দেশে বিদেশে তার তার ও পরিবারের সদস্যদের নামে বেনামে রয়েছে বিপুল পরিমান সম্পদ। রাজধানীর মোহাম্মদপুরের ইকবাল রোডের বিলাস বহুল ফ্ল্যাটের মালিক তিনি। যার আনুমানিক মূল্য প্রায় ৩ কোটি টাকা। ঢাকার ধামরাইতে তার একটি ১০ তলা ফাউন্ডেশন ভবনের কাজ চলমান রয়েছে। তার গ্রামের বাড়ী শেরপুরে রয়েছে নামে বেনামে অঢেল সম্পদ। পরিবারের ব্যবহারের জন্য রয়েছে লেটেস্ট মডেলের প্রিমিও গাড়ী। তার সার্কেলের সকল কাজের উপর ৪ থেকে ৫ শতাংশ হারে টাকা কমিশন গুনে গুনে নেন তিনি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ঠিকাদার ও অধিদপ্তরের কর্মকর্তা কর্মচারীরা এই তথ্য নিশ্চিত করেছে। একটি সার্কেলে পুরো অর্থবছরের যত কাজ হয় তার ৫ শতাংশ যদি তত্ত্ববধায়ক প্রকৌশলী পায় তাহলে তার বছরে আয় কত? !!
দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরকারের ‘জিরো টলারেন্স‘ নীতির কারনে সরকারের বিভিন্ন দপ্তর অধিদপ্তরের অসাধু কর্মকর্তা কর্মচারীদের মধ্যে দেখা দিয়েছে মহাআতঙ্ক। সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের কয়েক শীর্ষ কর্মকর্তা ইতোমধ্যে ধরা পড়েছে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) জালে। সরকার দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্সের যে নীতি ঘোষণা করেছে তার বাস্তবায়ন দেখতে শুরু করেছে দেশের মানুষ। সাধারণ মানুষের মধ্যে আশার সঞ্চার হয়েছে যে, এবার হয়তো দুর্নীতিবাজরা আর রক্ষা পাবে না। অপরাধ বিশ্লেষকদের মতে, এখন প্রতিটি স্তর ও বিভাগে সাঁড়াশি অভিযান পরিচালনা করার পালা। এতে তাসের ঘরের মতো তছনছ হয়ে যাবে দুর্নীতির দুষ্টচক্র। তাদের জ্ঞাত আয় বর্হিভূত সম্পদ রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত হলে সাঙ্গ হবে দুর্নীতিবাজদের বিলাসী জীবন যাপন। কিন্তু এসবের মধ্যেও এক শ্রেণীর অসাধু কর্মকর্তা ধরাকে সরা জ্ঞান করে দুর্নীতি, অনিয়ম ও ক্ষমতার অপব্যবহার করেই চলছে।
Leave a Reply