নেই সেখানে টিউবওয়েল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।ডিপিপি অনুযায়ী প্রতি ৬০ জনে ১টি টিউবওয়েল স্থাপন হওয়ার কথা থাকলেও প্রকল্পের কোনো কোনো জায়গায় ২০ জনে একটি করে টিউবওয়েল পেয়েছে। আবার কোনো কোনো জায়গায় একটিও নেই। ফলে অবহেলিত এলাকা অবহেলিতই রয়ে গেছে। এ হিসাবে সারাদেশে প্রায় ৬ লাখ টিউবওয়েল স্থাপন করা হলেও জনগণ সার্বিকভাবে উপকৃত হবে না। ৬ লাখ টেন্ডার আহ্বান শেষ করা হয়েছে। প্রকল্প পরিচালক নিজে লাভবান হওয়ার উদ্দেশে সমভাবে টেন্ডার আহ্বান করেছে। ডিপিপিতে যেভাবে প্যাকেজ উল্লেখ ছিল তা ভায়লেট করা হয়েছে। এবং মনগড়াভাবে করা হয়েছে। ডিপিপির সাথে সংখ্যা ও প্যাকেজের কোনো মিল নাই। ১০ শতাংশ লেস কাজের সিএসও মাসের পর মাস পড়ে থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে। জেলার বিভিন্ন মাঠ পর্যায়ের টেন্ডার প্রক্রিয়া যাচাই করে এর সত্যতা পাওয়া যায়। প্রকল্প পরিচালক নিজে আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার উদ্দেশে এসব অনিয়ম করা হয়েছে। ফলে নির্দিষ্ট সময়ে ফিল্ডে সময়মত কাজও বাস্তবায়ন হয়নি। পানির কোয়ালিটি নিয়ে পিডিসহ কর্মকর্তাদের কোনো মাথা ব্যথা নেই।এছাড়াও টিউবওয়েলে মাত্রাতিরিক্ত আর্সেনিক ও আয়রন থাকার পরও ঠিকাদারদের বিল দেয়া হয়েছে। যেখানে ওয়াটার কোয়ালিটি খারাপ সেখানে ১০ লাখ ৬০ হাজার টাকা মূল্যের ভেসেল টাইপ প্রেসার ফিল্টার ধরা আছে ডিপিপিতে। কিন্তু পিডি তার পূর্ব পরিচিত ও নিজস্ব কোম্পানির নিম্নমানের ১৮ হাজার টাকার ‘আরও ফিল্টার’ ওই সমস্ত খারাপ ওয়াটার কোয়ালিটির জায়গায় স্থাপন করা হয়েছে বলেও অভিযোগে উল্লেখ রয়েছে। ডিপিপিতে পাইপ ওয়াটার সাপ্লাই ৪৯১টি উপজেলায় ছিল। বেশিরভাগ জেলায় কোনো অগ্রগতি নাই। শুধু টেন্ডার আহ্বান করা হলেও নির্দিষ্ট সময়ে বাস্তবায়ন না হওয়ায় জনগণ উপকৃত হচ্ছে না।প্রকল্পটির কাজে নানা ধরনের অনিয়মের অভিযোগ তুলেছে খোদ সরকারি সংস্থা পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ণ বিভাগ (আইএমইডি)। এরমধ্যে নির্মাণ ত্রুটি ঠিকাদারের জবাবদিহীতা নিশ্চিত না করার মতো অভিযোগও রয়েছে তুষার মোহন সাধু খাঁ’র বিরুদ্ধে। প্রকল্প পরিচালনার অন্যতম নিয়ামক হওয়া সত্ত্বেও পর্যাপ্ত সংখ্যক পিআইসি ও পিএসসি সভা না করা, মাঠ পর্যায়ে প্রশিক্ষণ না দেয়ার মতো দুর্বলতা ও ত্রুটি রয়েছে বলেও উল্লেখ করা হয় এই অভিযোগে।নাম প্রকাশ না করার শর্তে সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তরের একজন কর্মকর্তা জানান, এই প্রকল্প থেকে অনিয়ম-দুর্নীতি করে তুষার মোহন সাধু খাঁ যতো টাকা আয় করেছেন তার চেয়ে বেশি আয় করেছে স্টিমেটর আনোয়ার শিকদার। কারণ হিসেবে তিনি বলেন, ‘অধিকাংশ টাকা আনোয়ার শিকদার হাত দিয়ে এসেছে। মাঠ পর্যায়ে এবং ঠিকাদারদের সাথে স্যার (সাধু খাঁ) এসব নিয়ে কথা বলতেন না। দেন-দরবার সব করতেন আনোয়ার শিকদার। কার সাথে কতো চুক্তি এসব থেকে অনেকটাই স্যারকে অন্ধকারে রাখা হতো। যেখান থেকে টাকা আসতো ২০ লাখ, আনোয়ার স্যারকে বলতেন ৫ লাখে রফাদফা হয়েছে।’এসব অভিযোগের বিষয় জনস্বাস্থ্যের প্রধান প্রকৌশলী তুষার মোহন সাধু খাঁ‘র মধুপুর নাম্বারে বক্তব্য জানতে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি, পরবর্তীতে হোয়াটস্যাপ বার্তা পাঠালেও কোন উত্তর দেয়নি।
Leave a Reply