প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, রপ্তানিযোগ্য পাট পণ্যের উৎপাদনে সবাইকে মনোযোগী হতে হবে। নতুন পণ্য আবিষ্কার ও নতুন বাজার তৈরির দায়িত্ব আপনাদের। পাট পণ্যকে বহুমুখী এবং কী তৈরি করা যায়, রফতানিতে চাহিদা কোন কোন পণ্যের বেশি, সে বিষয়ে মনোযোগী হওয়া দরকার। সোনালি আঁশ সোনার বাংলা গড়ে তোলায় বিরাট ভূমিকা রাখবে।
বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলনে জাতীয় পাট দিবস-২০২৪ উদযাপন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, অনেক বাজার আমাদের জন্য অপেক্ষা করছে। পাটের বহুমুখী উৎপাদন ও ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। পাট কৃষিপণ্য আবার শিল্পের কাঁচামাল। রপ্তানিও হয়। এটি কৃষিরও প্রণোদনা পায় না, আবার রপ্তানিরও প্রণোদনা পায় না। আমি পরিবেশবান্ধব এ পণ্যটিকে কৃষিজাত ও রপ্তানিমুখী পণ্যের স্বীকৃতি এবং প্রণোদনা দেবো।
স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে পাটপণ্য প্রযুক্তির সম্ভাবনা
বাংলাদেশে পরিবেশবান্ধব পাটের ভিত গড়েছেন বঙ্গবন্ধু
তিনি বলেন, সোনালি আঁশ, সোনার বাংলা গড়ে তোলায় বিরাট ভূমিকা রাখবে বলে আমি বিশ্বাস করি। আমাদের সমৃদ্ধিকে আরও ত্বরান্বিত করবে। জাতির পিতার ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তোলায় সহায়ক হবে। এজন্য পাটের বহুমুখী ব্যবহারে নানা উদ্যোগ নেবো।
সরকারপ্রধান বলেন, অনেক পাটকল অলাভজনক ছিল। সেগুলো বন্ধ করে দিয়ে শ্রমিকদের ন্যায্য পাওনা দিয়েছি। সম্পূর্ণ নগদ টাকা হাতে দেইনি। পারিবারিক সঞ্চয় করে দিয়েছিলাম।
সোনালী আঁশ সোনার বাংলা গড়ে তোলায় বিরাট ভূমিকা রাখবে
প্রধানমন্ত্রী বলেন, পাটের জন্মরহস্য উদ্ভাবন করেছি। ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকে বৈজ্ঞানিকরা গবেষণা করেন। আমি তাদের সুযোগ করে দিয়েছি। এতে পাটের জন্মরহস্যের উদ্ভাবন হয়েছে। তাতে পাটের গুরুত্ব বেড়েছে। পাটের বহুমুখী ব্যবহার হয়। পাটের ফার্নিচার ও আসবাবপত্র বানানো যায়। গাছের ওপর নির্ভরশীলতা কমিয়েছে। এটি পরিবেশবান্ধব পণ্য হওয়ায় আমাদেরও সুযোগ বেড়েছে। এ পাট শিল্পকে কীভাবে আরও প্রসার করা যায়, সুযোগ করে দিয়েছি। পাট ও পাটজাত পণ্যের উৎপাদন বাড়াতে পারলে রফতানির পথ সুগম হবে। রপ্তানিমুখী পণ্য উৎপাদন বাড়াতে হবে।
পাট ভবিষ্যৎ অর্থনীতির চালিকাশক্তি
পরিবেশবান্ধব উন্নয়নের এক নতুন সাফল্য
বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে পাটের ভূমিকা
তিনি বলেন, ১৫ আগস্ট জাতির পিতার হত্যার পর বাংলাদেশ আর এগোতে পারেনি। আমাদের সম্পদ সীমিত। এটাকে কাজে লাগাতে জাতির পিতা উদ্যোগ নিয়েছিলেন। এই পাটকে কাজে লাগাতে বঙ্গবন্ধুই প্রথম উদ্যোগ নিয়েছেন। পাট আমাদের অর্থনীতিতে বড় অবদান রাখতে পারে। পাটকে বলা হয় সোনালি আঁশ। পাট যেমন কৃষিপণ্য অন্যদিকে এটি ইন্ডাস্ট্রির কাঁচামাল। কিন্তু এটি পরিবেশবান্ধব পণ্য। পাটের কোনো কিছুই ফেলা যায় না। পাটের সব কিছুই কাজে লাগে। কৃষক যে ক্ষেতে পাট চাষ করে, সেটায় আবার ধান চাষ করে। কারণ পাটপাতা পচে মাটির উর্বরতা বাড়ায়।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী ছয়টি জুটমিল উদ্বোধন ঘোষণা করেন। অনুষ্ঠানে পাটমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক ও পাট মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি গাজী গোলাম দস্তগীরসহ সরকারের পদস্থ কর্মকর্তা এবং অংশীজন উপস্থিত ছিলেন।
Leave a Reply